
সম্প্রতি বয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর পরশ নি/খোঁজ হওয়ার তিন দিন পর তার ম/রদেহ নদীতে পাওয়া যায়। পরে চিকিৎসক তাকে দেখে নিশ্চিত করে তাকে হ/ত্যার করা হয়েছে। হ/ত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বান্ধবীসহ অজ্ঞতাদের নামে মামলা করেন ফারদিনের বাবা। ফারদিনের মৃ/ত্যু কিভাবে হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়ে চিকিৎসক যা জানালেন।
নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মশিউর রহমান দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ফারদিনের মাথায় ৪-৫টি এবং বুকের দুপাশে ২-৩টি ভোঁতা দেশীয় অ/স্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃ/ত্যু হয়েছে।
মাথায় রক্তক্ষরণজনিত কারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃ/ত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তকারীরা মনে করেন যে তাকে একটি ভোঁতা দেশীয় অ/স্ত্র বা লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছিল।
ময়নাতদন্ত করেন ডা. মফিজ উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ হোসেন উপস্থিতিতে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার লা/শ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) হ/ত্যা মামলাটি তদন্ত করছে। এ ছাড়া র্যাবসহ আরও কয়েকটি সংস্থা ছায়া তদন্ত চালাচ্ছে।
লা/শের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি পেয়েছে দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম। কথিত আছে, ফারদিনের মাথার সামনে, পেছনে, ডানে, বামে অর্থাৎ পুরো মাথায় কালশিটে দাগ রয়েছে। একইভাবে, পাঁজরের ডান এবং বাম পাশে কালশিটে দাগ রয়েছে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফারদিনের শরীরে কোনো হাড় ভাঙেনি। ফুসফুসে কিছু জমাট বাঁধার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মশিউর রহমান দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম বলেন, “ফারদিনের মাথায় ৪-৫টি এবং বুকের দুপাশে ২-৩টি ভোঁতা দেশীয় অ/স্ত্রের চিহ্ন রয়েছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃ/ত্যু হয়েছে।
“পুলিশ জানতে চেয়েছে খাবারের সাথে তার পেটে আর কিছু আছে কি না। এর জন্য আমরা রাসায়নিক বিশ্লেষণ ও ভিসেরা রিপোর্টের জন্য নমুনা পাঠিয়েছি।
ফারদিন হ/ত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার দিন রাত ২টার দিকে যাত্রাবাড়ী মোড়ে ফারদিনকে দেখা যায়। সাদা গেঞ্জি পরা এক যুবক তাকে তুলে নিয়ে যায় একটি লেগুনে। ওই লেগুনায় আরও চারজন ছিল। লেগুনাটি তারাবো পর্যন্ত যায়। ওই লেগুনার চালক ও সহযোগীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
হারুন অর রশিদ বলেন, ফারদিনের মৃ/ত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। কোথায় তাকে হ/ত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পা/ওয়া যায়নি।
অপরদিকে রূপগঞ্জের চানপাড়ায় ফারদিনকে হ/ত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন র্যাব কর্মকর্তারা। মামলার সার্বিক তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান গত রোববার দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম বলেন, “এটি একেবারেই অজ্ঞাত ঘটনা। অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। লা/শটি শেষ স্থান থেকে অনেক দূরে পাওয়া গেছে ফারদিনের মোবাইল ফোন। আমরা খুব সতর্কতার সাথে সবকিছু খতিয়ে দেখছি এবং কিভাবে সেটি সেখানে গেল।
শেষ লোকেশনে ফারদিনের উপস্থিতি কীভাবে হল তা জানার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। কারণ আমরা রামপুরা থেকে কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, তারপর চনপাড়া পর্যন্ত তার পায়ের ছাপ পেয়েছি। কেন তিনি এত জায়গা কেন ঘুরল তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কাজ করছি আশা করি সব প্রশ্নের উত্তর উত্তর মিলবে।
প্রসঙ্গত, ফারদিনের হ/ত্যাকাণ্ডের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে প্রকৃত ঘটনার রহস্য বের করতে। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে তাকে কি দিয়ে মারা হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য মিলেছে।