
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সঙ্গে বিগত সময়ের চেয়ে আরও ভালো বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক চলচ্ছে বাংলাদেশের সাথে এমনটায় দাবি সরকারের। কিন্তু বাস্তব চিত্রে তার প্রমাণ পাওয়া যায় না বিভিন্ন ঘটনার দিকে দৃষ্টি দিলে। অন্য ন্যায্য পাওনা এখনো এখনো এই সরকার আদায় করতে পারিনি কিন্তু তাদের দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের আগ্রহের শেষ নেই। দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার পরও আজও সিমান্ত হ/ত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে পারিনি সরকার। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য হুবহু নিচে দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪,০৯৬ কিলোমিটার (২,৫৪৬ মাইল) দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত আছে। এই সীমান্তে ভারতের বিএসএফ সাধারণ ও বেসামরিক বাংলাদেশি নাগরিকদের উপর সংগঠিত নিয়মিত নির্যাতন ও হ/ত্যাকাণ্ডচালায়।এইসীমান্ত পৃথবিবির সবচেয়ে সহিংস সীমান্ত। ভারত বলে থাকে চোরাচালান ও বাংলাদেশ থেকে কথিত অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শ্যূট-অন-সাইট বা দেখামাত্র গুলি করার নীতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে তারা বহাল করেছে, যার প্রেক্ষিতে বিএসএফ কারণে কিংবা অকারণে বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করতে পারে।
স্বাধীনতার পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সীমান্তে ১১৬০ জন নিহত হয়েছে, ১৪০৮ জন অপহৃত হয়েছে, ১১১ জন নিখোজ হয়েছে যাদের কোন খোজ পাও্যা যায়নি আর ধর্ষিতা হয়েছে ১৫ জন।
৪৭ যখন দেশ ভাগ হলো সেই সময়ে আমাদের কোন সিমান্ত ছিলো না। তার আগে ভারত একটা অখন্ড জনবসতি ছিলো একটি অখন্ড রাষ্ট্র ছিলো এবং দেশ ভাগ হয়ে ইন্ডিঢা এবং পাকিস্তান আলাদা ডমিনিয়ন স্টেটের সৃষ্টি হলো এবং সিমান্ত তৈরি এই দুইটা ডমিনিয়েন স্টেইট ১৯৪৮ সালে সিমান্ত নিয়ে এবং তাদের পাস্পরিক রাষ্ট্র নীতিক সম্পর্ক নিয়ে একটা দীর্ঘ চুক্তি সম্পাদিত হয়।
১৯৪৮ সালে এপ্রিল ,মে ,এবং ডিসেম্বরে তিন মাস ধরে তিনটা ভিন্ন মিটিং হয় একটা মিটিং দিল্লিতে, একটা কোলকাতায়, একটা করাচিতে। পাকিস্তান এবং ভারত রাষ্ট ডিসেম্বরে একটা দীর্ঘ চুক্তি সাক্ষর হয় সেই চুক্তির নাম ছিলো ইন্টার ডমিনেন্ট এগ্রিমেন্ট অনেক গুলো ধারা ছিলো তার মধ্যে একটা ধারা ছিলো সিমান্ত নিয়ে। সিমান্ত নিয়ে কী ধারা ছিলো ?
ধারাটা ছিলো এই দুইটা ডমিনেন্ট স্টেইট ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানের সিমান্ত অঞ্চলে যারা বসবাস করে তাদের নাগরিকদের সিমান্তের দুপারে অবাধে যাতায়াত চলাচলের নিশ্চয়তা প্রধান করা হবে এবং তাদের উৎপাদিত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আরেকটি দেশের বাজারে বিক্রির জন্য সে নিয়ে যাবে। এই চুক্তি বলেই ভারত কখনোই সিমান্তে কাঁটাতার দিতে পারে না।
সিমান্তে, যে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড হয়। সেটা কিভাবে মেনেজ করা হবে সেইটার জন্যে একটা বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক একটা নীতিরিতি আছে। আমরা সিমান্তে কেন আর্মি না রেখে বিজেবি রাখি একটা সিভিল বাহিনিকে রাখি যেটা একটা পুলিশের মতই বাহিনি তার কারণটা হচ্ছে সিভিল ইস্যু সিভিল ওয়েতে মেনেজ করার জন্যে।
আমাদের সুনির্দিস্ট বক্তব্য হচ্ছে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে সীমান্তে নাগরিক হত্যার একটা সমাধান বের করতে হবে এবং প্রমাণ করে দিতে হবে ভারত রাষ্ট্রের স্যুট এট সাইট অন্যায় অগ্রহনযোগ্য আমাদের দ্বপাক্ষিক চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক রিতীনীতির পরিপন্থি। প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ কি ভারত রাষ্ট্রকে এটা আদৌ বলতে পারবে?
প্রসঙ্গত, সিমান্তের হ/ত্যার ব্যাপারে বার বার বলা শর্তেও এটি বন্ধ হচ্ছে না কিন্তু সরকারের বলার কোনো ক্ষমতা নেই মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় নিজে ক্ষমতায় থাকতে বন্ধুত্ব ধরে রেখেছেন দেশের মানুষের জন্য নয়।