
সম্প্রতি নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর এই ছাত্রলীগ নেতার ম/রদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায় তিনি ৭ নভেম্বর নৌ দুর্ঘটনার শিকার কেরানীগঞ্জে। ওই ঘটনায় তিনি নিখোঁজ হন। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জের ফ/তুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদী থে/কে উদ্ধার করা হয়। ভাইয়ের এমন মৃ/ত্যু মেনে নিতে পারছে না মন্তব্য করে যা বললেন দুরন্ত বিপ্লরেব বোন শাস্বতী বিপ্লব।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত লা/শটি দুরন্ত বিপ্লব (৪২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
এই মৃ/ত্যু মেনে নিতে পারছে না দুরন্তের পরিবার। দুরন্তের বোন শাস্বতী বিপ্লবের দাবি, তার ভাই এভাবে ম/রতে পারে না। তিনি কখনই এটি কামনা করেননি।
রবিবার ভাইয়ের মৃ/ত্যুতে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন শাস্বতী বিপ্লব।
স্ট্যাটাসে শাস্বতী লিখেছেন, “এমন মৃ/ত্যু ভাইয়ার প্রত্যাশা করেনি। কোনো দিন না। নারায়ণগঞ্জের পাগলাঘাটে কচুরিনার উপর এমন অসহায়ভাবে ভেসে পারে না দুরন্ত বিপ্লবের বিরুদ্ধে কিংবদন্তুল্য ভাইটা আমার। সে সারাজীবন নিজের ই/চ্ছার রাজা ও। যাঁরা তাঁকে চেনেন, তাঁরা জানেন তাঁর কী প্রবল আত্মসম্মানবোধ ছিল।তিনি এখন নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছেন। গতকাল বেলা ৩টায় আমরা সেই ছবি দেখেছি।তাকে আনতে গেছে দুর্জয়, ইমরুল। ৭ তারিখ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। কামরাঙ্গীরচর থেকে পাগলা পর্যন্ত ভেসে যেতে সময় লেগেছে ৫ দিন।’
ভাইয়ের ম/রদেহের জা/নাজার সময়ও জানিয়ে দেন শাস্বতী।
তিনি লিখেছেন, “বাদসর মোহাম্মদপুরে জাপান গার্ডেন সিটি মসজিদের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। যারা যোগ দিতে চান তারা আসবেন।
দুরন্তের মৃ/ত্যুর বিষয়ে পাগলা নৌ পুলিশের এসআই শাহজাহান সাজু জানান, গত ৭ নভেম্বর কেরানীগঞ্জের কামরাঙ্গীরচরের ঠুটা খেয়াঘাট দিয়ে নদী পার হওয়ার সময় দুই ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রলারের কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। এ সময় সাঁতার না জানার কারনে দুরন্ত বিপ্লব ডুবে যায়।
শনিবার বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদীর পানগাঁও এলাকা থেকে দুরন্তের লা/শ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এরপর লা/শের ছবি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়। এরপর পুলিশ যারা নিখোঁজ জিডি করেছে তাদের জানালে ইমরুল খান নামে এক ব্যক্তি এসে লা/শ দাবি করেন। তিনি নিজেকে দুরন্তের বোনজামাই বলে পরিচয় দেন।
ইমরুল খান বলেন, দুরন্ত বিপ্লব বিবাহিত, তার স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে। দুরন্ত ব্যবসা করতেন। তার বাবা-মা থাকতেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এবং দুরন্ত থাকতেন কেরানীগঞ্জে।
দুরন্ত নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার ছোট ইলাশপুর গ্রামের মৃ/ত আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সে সময় দুরন্ত ছাত্রলীগের জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন।
প্রসঙ্গত, হঠাৎ ভাইয়ের এমন মৃ/ত্যু মেনে নিতে পারছে না তার বোন ও পরিবারের সদস্যরা। তার মৃ/ত্যুতে ভেঙ্গে পড়েছে গোটা পরিবার।