
বাংলাদেশের মানুষ যাদের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলা পেয়েছে এবং যাদের অবদানে আজ আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করছি অথচ তাদের হত্যার দিনটিকে আজও জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয়নি। দেশ গঠনে তাদের ভূমিকার কথা আজও জাতি গর্বিত ভাবে স্মরন করে করে। ঐতিহাসিক জেল হ/ত্যা জাতীয় শোক দিবস করার দাবি জানিয়ে যা বললেন সাবেক স্ব/রাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ জে/লহত্যা দিবসকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করে তা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়েছেন। ৩ নভেম্বর, ১৯৭৫ সালে, তার পিতা বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতাকে কারাগারে হ/ত্যা করা হয়। সেই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর ৩ নভেম্বর পালিত হয় জেল হ/ত্যা দিবস।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সোহেল তাজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ দাবি করেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, “আগামী ৩ নভেম্বর সেই কলঙ্কজনক জেলহত্যা দিবস। ৪৭ বছর পেরিয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত জাতির এই চার বীর, যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল, যাদের নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি। বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং যার প্রচেষ্টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে বাংলার বুকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল, আজ পর্যন্ত রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়নি, এটা মেনে নেওয়া যায় না!’
ওই পোস্টে তিনি তিনটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ১. যেহেতু ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্মগ্রহণ করে, তাই দিবসটিকে ‘প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
১. ৩ নভেম্বর জেলহ/ত্যা দিবসকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে জাতীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ সকল বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনী, মুক্তিযু/দ্ধের সঠিক ও সম্পূর্ণ ইতিহাস সকল স্তরের পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্ব সহ।
আমি মনে করি আমার এই তিনটি দাবিই ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযু/দ্ধের সমর্থকদের দাবি।
পোস্টে তিনি কর্মসূচি ঘোষণা করে লিখেছেন, আগামী ৩১ অক্টোবর সোমবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে (মানিক মিয়া এভিনিউ) সমাবেশ ও স্পিকারকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। স্বাধীনতা বা মু/ক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে এই সমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
সোহেল তাজ তার পোস্টে আরও উল্লেখ করেছেন, “এক এ/কাধিক শোক দিবস হতে পারে। যেমন- ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৪ ডিসেম্বর।
প্রসঙ্গত, তাদের অবদানকে গুরুত্বে মাধ্যমে দিনটি শোক দিবস করা উচিত মন্তব্য করেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারই আজকের স্বাধীন বাংলার রুপকার।