
সম্প্রতি সরকারের দু/র্নীতি ও লু/টপাটের কারনে দেশে অর্থনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়। উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্পগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুপাটের ও বিদেশে পাচারের কারনে দেশের রিজার্ভে ঘাটতি তৈরী হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ খাতে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের কারনে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যো/গাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য হুবহু পাঠকদের জন্য সেটা নিচে তুলে ধরা হলো।
সাড়ে আট বিলিয়ন ডলার যেটা রিজার্ভে নাই কিন্তু দেখানো হয়েছে। আমি এটাকে চুরি বলেছিলাম গত ডিসেম্বরে। কারণ একাউন্টিং টার্মে যেটা নাই সেটা হিসাবে দেখানোকে “চুরি” বা থেফট বলে।
তখন আমার উপরে আওয়ামী লীগ ঝাপিয়ে পড়েছিলো আমার উপরে। পড়াই উচিৎ, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেইসাথে ঝাপিয়ে পড়েছিলো অনন্ত খলিল। এটা আমার কাছে অস্বাভাবিক ঠেকেছিলো। এমনকি সে এমনভাবে আক্রমণ করেছিলো যে রিজার্ভ যে আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভে গচ্ছিত থাকে সেটা নাকি আমি জানিনা। একটা একাডেমিক আলোচনা করা যেতেই পারে যদি উদ্দেশ্য হয় জানাবুঝা বাড়ানো। আমরা কেউই সবজান্তা না। আমি কনফিউজড হয়ে গেলাম। শেষে আমি আমার এমবিএতে যিনি ইকোনমিকস পড়াইতেন উনারে ই মেইল করলাম জানার জন্য রিজার্ভ আসলে কই থাকে। তিনি আমার উত্তরই দিলেন যে রিজার্ভ থাকে সংস্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যাংকে। আমার সাথে তখনো অনন্ত খলিলের টকিং টার্ম আছে। আমি তাকে আমার অধ্যপকের ইমেইলটা পাঠালাম। সে আমার সেই মেসেজের উত্তরে হা হা রিয়াক্ট দেয়। মানে সে এতো বড় তালেবর যে সে সর্বোর্নের ইকোনমিকসের অধ্যাপকের চাইতেও বেশী বুঝে ইকোনোমিকস।
অনন্ত খলিলের যুক্তি ছিলো রিজার্ভের টাকা যে চুরি হইছে এইটা তো আই এম এফ বলে নাই। আমিও কিন্তু দাবী করি নাই আই এম এফ বলছে যে চুরি হইছে টাকাটা। চুরি শব্দটা আমার। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে আসলেই সেই সাড়ে আট বিলিয়ন ডলার রিজার্ভে নাই। তাহলে সেই টাকাটা কোথায় গেছে? সেই আলাপে পরে আসছি।
অনন্ত খলিল মনে করছিলো রিজার্ভ মনে হয় আমাদের ব্যাংক একাউন্টের মতো, যেইখানে সরকার ডলার এনে এনে জমা রাখে। তো ফেডারেল রিজার্ভে যদি আমাদের ব্যাংক একাউন্টের মতো রিজার্ভের টাকা জমা থাকে তাহলে সাড়ে আট বিলিয়ন ডলার কি আমাদের সেই একাউন্ট থেকে হাওয়া হয়ে গেলো? যেতে পারে? আপনার টাকা থেকে সাড়ে আট টাকাও কি আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে হাওয়া হয়ে যেতে পারে?
আমি ইকোনোমিস্ট নই কিন্তু আমার একাউন্টিং এর আর ইকোনমিকসের বেইসিক ধারণা তো আছেই। আমার লেখাপড়ার সাব্জেক্টই এখন ইকোনমিকস।
এখন এই সাড়ে আট বিলিয়ন ডলার কোথায় গেছে? আপনি খাতগুলো দেখলে দেখবেন এইখান থেকে টাকাটা রুগ্ন ব্যাংকগুলোকে দেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো রুগ্ন হলো কেন? কারণ সেইখানে চুরি করা হয়েছে তহবিল। সেই চুরির তহবিল পুরণ করা হচ্ছে রিজার্ভ থেকে ঋণ দিয়ে যা রিজার্ভের টাকায় করা যায়না। তাহলে এইটা চুরি কিনা?
আমার খটকাটা এখনো যায়নি কেন তখন অনন্ত খলিল আমার উপরে ঝাপায়ে পড়ছিলো? আমার এই আইডেন্টিফিকেশনটা কার পুচ্ছে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো। বাংলাদেশ ইকোনমিক ক্রাইসিসে না পড়লে আই এম এফের কাছে লোনের জন্য না গেলে এটা এভাবেই থাকতো। মানে আমাদের কাছে যেটা নাই সেটাই দেখাতো। তাহলে লাভ হতো কাদের? তাদেরই যারা টাকাটা লোপাট করেছে। অনন্ত খলিল হয়তো বুঝে করেনি কিন্তু না বুঝেই সেই টাকা মেরে যারা মেরে দিয়েছে তাদের ডিফেন্ড করেছে আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করে। সেই কাজটা সে না করলে পাব্লিক স্ফেয়ারে আলাপটা আরো জোরেশোরে আরো আগেই আসতো। ঠিক কিনা?
প্রসঙ্গত, সরকার সংকটের বিষয়টির সঠিক তথ্য প্রকাশ করে না এবং বিভ্রান্তি মূলক তথ্য দেয় মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি আরও বলেন, আই এম এফের ঋণের চাওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে।