
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নি/র্মাতা মোস্তফা সরিয়ার ফারুকী। একাধিক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শক ও ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছেন। জিতেছেন অসংখ্য চলচ্চিত্র পুরস্কারও। তরুন নির্মাতাদের জন্য তিনি একজন আদর্শবান পরিচালক। তার হাত ধরে অনেক তরুণ নির্মাতা এই পেশায় এসেছেন খ্যাতিও পেয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে একাকীত্ব থাকার বিষয় নিয়ে যে কথা বললেন জনপ্রিয় এই নির্মাতা।
আমি ঘুমাবার চে/ষ্টা করছি, কিন্তু আ/মার চোখের পাশ দি/য়ে পানি গড়িয়ে প/ড়ছে। আমি কাত হ/য়ে শুয়ে আছি যাতে তিশা খেয়াল না করে। সে আমার মেয়েকে ছ/ড়া শুনাচ্ছে। এর পাশাপাশি তিনি অনায়াসে স্বীকার করেছেন, “আমি এমন একজন মানুষ যে মৃত্যুর মতো একাকীত্বকে ভয় পায়।”
দেশের শীর্ষস্থানীয় নির্মাতা তার সহকর্মীদের কৃতজ্ঞতায় আবেগে আচ্ছন্ন হয়েছেন। মোস্তফা সরিয়ার ফারুকী তার ফেসবুক হ্যান্ডেলে এ কথা জানান। মূলত ‘শনিবার বিকেল’ ছবিটি মুক্তির দাবি জোরালো হচ্ছে, দাবি মিছিলে এগিয়ে রয়েছেন সহকর্মীরা।
নিজের লুকানো অ/ভিমানের কথা বলতে গিয়ে ফারুকী বলেন, “আমি আর লুকাতে চাই না। আমি মৃ/ত্যুর মতো একাকীত্বকে ভয় পাই। গত তিন বছর ধরে আমার অ/ভিমান হয়েছিলো আমার সহকর্মীদের ওপর, বাং/লাদেশের ওপর। ‘শনিবার বিকেল’- কে কেন্দ্র করে আমার ওপর যে অবিচার করা হচ্ছিল সেটা আমি আর আমার স্ত্রীকে যে চাপ সহ্য করতে হয়েছে সেটা ভেবে লজ্জায় কত রাতে দেশ ছেড়েছি জানি না। কত রাত ঘুমাতে পারিনি জানি না। ”
গত রাতে আবেগের অশ্রু ঝরেছ। তিনি তার স্ত্রীকেও তা অনুভব করতে দেননি। ফারুকী বলেন, “গত রাতেও ঘুমাতে পারিনি। কিন্তু ব্যথায় নয়, কৃতজ্ঞতার আনন্দে। কৃতজ্ঞতার চেয়ে ভালো কোনো ওষুধ মানুষের হৃদয়ের জন্য আবিষ্কৃত হয়নি। কাল সিডনির সময় বেলা ৩টায় যখন ঘুমাতে যাব। রাতে, বাচ্চু ভাই, পিপলু ভাই, অমিতাভ, জুলহাজরা হয়তো আমাদের বন্ধুদের ফোন দিয়ে তাদের নাম ‘শনিবার বিকালের’ মুক্তির দাবিতে বিবৃতিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। আর আমি ঘুমানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু আমার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। আমি কাত হ/য়ে শুয়ে আছি যাতে তিশা খেয়াল না করে, সে আমার মেয়েকে ছ/ড়া শুনাচ্ছে”।
‘শনিবর বিকেল’ সিনেমাটি মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে পরিচালক বলেন, “সব সময় এমন হয় না যে আমরা আমাদের জড়তা ঠেলে একসঙ্গে একটি উদ্যোগ নিতে পারি। সে হিসেবে আমাদের দেশের শিল্পীদের জন্য আজ একটি স্মরণীয় দিন। ১৩০ জন শিল্পী ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তির দাবিতে একটি বিবৃতি দিয়েছেন, যা আগামীকাল পত্রিকায় দেখা যেতে পারে। নামের তালিকাটি দেখলে বুঝতে পারবেন কেন এটি আমাদের জন্য, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বিশেষ অর্থ বহন করে। ”
ফারুকী জানান”এখানে এমন কিছু লোক আছে যাদের আপনি নিয়মিত বক্তব্যে খুঁ/জে পাবেন না,”। এখানে বিভিন্ন ধারার মানুষ রয়েছে মূলধারা-বিকল্প-নতুন-পুরাতন ধারার। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে, পথ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু শিল্পীর স্বাধীনতার প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের ভবিষ্যতের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ। এখন আমরা জানি যে আমরা যখন ঐক্যবদ্ধ থাকি, তখন কিছুই আমাদের আটকে রাখতে পারে না। ‘
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মোস্তফা সরিয়ার ফারুকী বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আপিল কমিটি আগামী দিনের বৈঠকে তাদের বিচক্ষণতা দেখাবে। আর দ্রুতই ‘শনিবার বিকেল’ দর্শকদের কাছে পৌছাতে পারবে। আমি আমার সকল সহকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ।
প্রসঙ্গত, ভিন্ন মতের মানুষ হলেও একটি বিষয়ে সবাই একতাবদ্ধ শিল্পীরা মন্তব্য করেন নির্মাতা মোস্তফা সরিয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতায় আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারবো আগামীতে।
“