
বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। জনপ্রিয় একাধিক সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিজের অবস্থান ইতিমধ্যে পাকাপক্ত করে নিয়েছেন। যদিও ব্যক্তিগত জীবনের ঘরে দাঁড়াতে তাকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়েছে বলে তিনি প্রকাশ করেছেন। আলোচিত অভিনেত্রী জন্মদিনে উপহার ও বিশেষ প্রসংশায় পাওয়ার কথা জানিতে গিয়ে যা বললেন।
শোবিজের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন তিনি। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ছিল বাঁধনের জন্মদিন। ৩৯ বছর বয়সে পা রাখলেন এই অভিনেত্রী। এই বিশেষ দিনে, ভক্ত-বন্ধু-আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে অনেক উপহার এবং ভালোবাসাময় শুভেচ্ছা পেয়েছেন বাঁধন। তবে এদিন ভিন্ন উপহার পেয়ে আবেগে আপ্লুত এই তারকা। ব্যারিস্টার এবং প্রগতিশীল লেখক ইমতিয়াজ মাহমুদ তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাঁধন সম্পর্কে একটি লেখা পোস্ট করেছেন। সেই লেখাটি নজরে আসে অভিনেত্রীর। এটি পড়ার পরে তিনি খুব খুশি হন। সম্মানবোধ করছেন।
জন্মদিনে বাঁধনকে নিয়ে ইমতিয়াজ মাহমুদ লিখেছেন, আজমেরী হক বাঁধন একজন জনপ্রিয় নায়িকা।
সবাই জানে তার চলচ্চিত্র দেশের জন্য আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে এনেছে। আমি তাকে একজন অভিনয়শিল্পী বা ইংরেজিতে অ্যাক্টর না বলে তাকে নায়িকা বলতে পছন্দ করবো – এবং ইংরেজিতে হিরো। কেন? কারণ এই অভিনেত্রী যে বীরত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখিয়েছেন তা শুধু তার পেশাগত ক্ষেত্রেই নয়, অর্থাৎ অভিনয়ের ক্ষেত্রেই – তিনি তার জীবনে এবং সমাজের সর্বত্রই প্রতিনিয়ত লড়াইয়ের সামনে রয়েছেন। তাকে হিরো ব/লবেন না শুধু অভিনেত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন?
না, আমাদের সবাইকে আমাদের জীবনে বিভিন্ন ধরণের লড়াই করতে হয়। বাঁধনকে ল/ড়তে হয়েছে, প্রতিদিন। আর কেউ যদি এই পোড়ার দেশে নারী হয়ে জন্ম নেয়, তবে মায়ের গর্ভ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই তার সংগ্রাম শুরু হয়। কখনো কখনো মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় কন্যা সন্তানের বেঁচে থাকার লড়াই শুরু হয়। বাঁধনও একজন নারী, তাকেও লড়াই করতে হবে- এটাই স্বাভাবিক। তবুও অন্য সবার সাথে আমাদের এই নায়কের লড়াইয়ে পার্থক্য আছে।
বাঁধন তার লড়াই জানে, শত্রু তার মিত্রকে জানে এবং জানে যে তার উপর আক্রমণ কেবল তার ব্যক্তিগত বিড়ম্বনা বা বিপদ নয়, বরং পুরুষতন্ত্রের সহস্রাব্দ-পুরাতন আ/ক্রমণ এবং মহিলাদের উপর আ/ঘাতের অংশ। বাঁধনের এই সচেতনতাই তাকে সংগ্রামের অগ্রভাগে রাখে, তাকে বীরের আসনে বসায়। এটা কিভাবে বুঝলেন? খেয়াল করলে দেখবেন, বাঁধন তার সংগ্রামের কথা খুলে বলেছেন। তিনি কাঁদেন না এবং আপনার সহানুভূতির জন্য ভিক্ষা করেন না – তিনি তার সংগ্রামকে প্রকাশ করেন। ফেসবুকে লিখেন, সাক্ষাৎকারে বলেন ইত্যাদি,
সভা, সমিতিতেও বক্তব্যে তুলে ধরেন।
এভাবেই আমাদের ছোট দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বিশ্বব্যাপী চলমান নারী মুক্তির সংগ্রামে একজন গুরুত্বপূর্ণ সেনাপতি হয়ে ওঠেন। আজমেরী হক বাঁধনের শুভ জন্মদিন। তোমাকে অভিনন্দন. শুভ জন্মদিন বাঁধন এই লেখাটিকে আলাদা জন্মদিনের ‘উপহার’ হিসেবে মূল্যায়ন করছে। তিনি বলেন, এই লেখককে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তার সাথে পরিচয়ও নেই। দূর থেকে জেনে আমার সম্পর্কে লিখেছেন। আমি সত্যিই অ/র্থেই খুশি ও আনন্দিত এবং অনুপ্রাণিত। আমার জীবনের যাত্রা খুবই কঠিন। সেই যাত্রায় যখন মানুষের কাছ থেকে এমন ভালোবাসা পাই তখন সত্যিই মনের মধ্যে একটা শক্তি অনুভব করি। মানুষের এমন ভালোবাসা নিয়ে আমি চলতে চাই।
প্রসঙ্গত, আলোচিত এই অভিনেত্রী ব্যক্তিগত জীবনের পথা চলা নিয়ে চেলেঞ্জের কথা তুলি ধরেন। তিনি বলেন, মানুষের ভালোবাসার কারনে তিনি আজ এই অবস্থানে পৌছাতে পেরেছেন।